সুচি কথা

দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বিগত ২০০৭ সালের ৪ই জুন তারিখে তত্ত্বাবাধক সরকারের আমলে বাংলাদেশ ও কোরিয়ান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি(Memorendum of understanding-MOU) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে কর্মী প্রেরণের যাত্রা শুরু হয়।

অতএব, এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের সেন্ডিং রিক্রুটিং এজেন্সি হিসেবে কর্মী প্রেরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করছে BOESL/বোয়েসেল। বোয়েসেলের ফুল মিনিং হচ্ছে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। BORSLএকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সরকার সাহিত্যশাসিত প্রতিষ্ঠান এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে কোন দুর্নীতি ছাড়া কাজ হয় কিন্তু বুয়েসেল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে নির্দ্বিধায় সম্পূর্ণ দালালমুক্ত, চা/কফি খাওয়ানোর কোন সুযোগ নেই। নিজ যোগ্যতা বলে বিদেশ গমনের নির্ভেজাল প্রতিষ্ঠান।

কোরিয়াতে কর্মী প্রেরণের সিস্টেমের নাম কি?

ইপিএস/EPS. এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম। কোরিয়ান সরকার তাদের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে এইচ আর ডি কোরিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য একটি সিস্টেম চালু করে যার নাম হলো ইপিএস।

কোরিয়াতে যাওয়ার ধাপ-গুলো কি কি?

১ স্টেপঃ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যে স্কিলটি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে কোরিয়ান ভাষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা অর্থাৎ কোরিয়ান ভাষা লিখতে পড়তে ও বলতে জানতে হবে। কোরিয়ান ভাষা আপনি অনেক উপায়ে শিখতে পারবেন। যেমন ধরুন,, নিজে নিজে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বা সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি টি সি কেন্দ্র থেকে বা কোরিয়ান ভাষার কোচিং সেন্টার থেকে।।

২ স্টেপঃ ভাষার উপর যখন আপনার স্কিল হয়ে যাবে তখন অপেক্ষা করতে হবে ভাষা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সার্কুলারের। সার্কুলার টা এখন বর্তমানে বছরে একবার দেওয়া হয়। সার্কুলার সর্ব প্রথমে কোরিয়ান ওয়েবসাইটে hrdkorea পাবলিশ করে বাংলাদেশের সেন্ডিং এজেন্সিলেboesl কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর বুয়েসেল নিজের মাতৃভাষায় নিজের মত করে বাংলাতে বিস্তারিত আকারে সার্কুলার রেডি করে অর্থাৎ এ- টু জেড যেমন পরীক্ষা কবে হবে, পরীক্ষার্থী কতজন উত্তীর্ণ করা হবে, কত তারিখে ফাইনাল রেজাল্ট দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ একাধিক পাতায় সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। কবে রেজাল্ট দেওয়া হবে করে প্রকাশিত করে নিজ ফেসবুক পেজে অথবা ওয়েব সাইটে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে।

সার্কুলার প্রকাশের পরে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে নির্দিষ্ট তারিখে সঠিক সময়ে।।

যোগ্যতাবলী
যেদিন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে সেদিন থেকে 18 থেকে 39 এর মধ্যে বয়স হতে হবে।
সর্বনিম্ন এসএসসি পাস হতে হবে
ডিজিটালাইজ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

উক্ত যোগ্যতা বলি আপনার মধ্যে থাকলে আপনি অনলাইন প্রাথমিকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এন্ড্রয়েড ফোন, কম্পিউটার,ল্যাপটপ দিয়ে করতে পারবেন। তবে রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারণা নিতে হবে পূর্বে থেকে। অথবা কুরিয়ার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে যারা পারদর্শী তাদের সাহায্য নিতে হবে।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দুই ধাপে সম্পন্ন করতে পারবেন
১ ভাষা পারদর্শী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন।
২,অভাষা পারদর্শী/লটারিতে অংশগ্রহণ রেজিস্ট্রেশন হিসেবে।

ভাষা পারদর্শী রেজিস্ট্রেশন নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ থাকে যেটা ফিলাপ হয়ে গেলে সার্ভার অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। first come first service ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। যাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে তাদের প্রত্যেককে বিকাশের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি ৩৫০০ টাকা পেমেন্ট দিয়ে এডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। পেমেন্ট ছাড়া পরীক্ষার অংশগ্রহণ করা যাবে না। পেমেন্ট না করতে পারলে এডমিট কার্ড আপনি সংগ্রহ করতে না পারবেন না বিধায় পরীক্ষা দিতে পারবেন না। বাবদতারা প্রত্যেকে পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বিস্তারিত জানতে বে ছেলের কিভাবে বিকাশ পেমেন্ট দিতে হয় হেডলাইন তো বিস্তারিত করুন।

লটারিতে অংশগ্রহণ অনলাইন প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন। এখানেও নির্দিষ্ট কোটা থাকে তবে আনলিমিটেড ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। নির্দিষ্ট কোটা পূরণের জন্য অসংখ্য রেজিস্ট্রেশন গুলো কম্পিউটারের লটারির মাধ্যমে সিলেকশন করা হয়। যাদের লটারি তে উত্তীর্ণ হবে কেবল তারাই পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। লটারিতে অংশগ্রহণ মূলক রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ৫০০ টাকার বিকাশ পেমেন্ট দিয়ে ট্রানজেকশন আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। লটারিতে উৎকীর্ণ ব্যক্তিরা বুয়েসেলের নির্ধারিত কি ৩৫০০ টাকা দিয়ে সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে বোয়েসেলের সশরীরে চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়।

বিস্তারিত জানতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিজে নিজে কিভাবে করা যায় ক্লিক করে বিস্তারিত করুন।

৩ স্টেপঃ চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকারী প্রত্যেককেই ইউবিটি UBT ubi questioned bestest সিস্টেমে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এটা কম্পিউটার/ট্যাব বেজ পরীক্ষা বলা হয়। কোন প্রকার খাতা কলম পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় না। কম্পিউটার ট্যাব আপনি সামনে থাকবে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রশ্ন আছে প্রশ্নগুলো গতানুগত আসবে আপনি কে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে অবজেক্টিভ প্রশ্ন হবে অর্থাৎ চারটা করে অপশন থাকবে প্রশ্ন বুঝে আপনাকে সঠিক উত্তরটি ঠিক চিহ্ন দিতে হবে। টাচ অথবা মাউস ব্যবহার করে সঠিক উত্তরটি ক্লিক করতে হবে। পরীক্ষা হবে রিডিং ও লিসেনিং দুই পার্টে। রিডিং প্রশ্ন হচ্ছে আপনাকে পড়ে পড়ে উত্তর দিতে হবে। লিসেনিং প্রশ্ন হচ্ছে আপনাকে প্রশ্ন শুনে শুনে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে সাথে সাথে আপনি কম্পিউটার বা ট্যাব স্ক্রিনে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল দেখতে পারবেন। নূন্যতম পাস মার ্ক পেলে পরবর্তী ধাপে আপনি আগাতে পারবেন।

৪স্টেপঃ ভাষা পরীক্ষায় উৎকীর্ণ হলে আপনাকে স্কিল টেস্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। টেস্ট তিন ক্যাটাগরী তে সম্পূর্ণ করা হয়
১. বুদ্ধিমত্তা বেসিক স্কেল টেস্ট।
২. শারী

কোরিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি: একটি বিস্তৃত পরিচয়

প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ থেকে 고대 왕국 (고대 왕국)

কোরিয়ার ইতিহাস ১০,০০০ বছরের পুরানো। প্রাথমিক মানুষের বসবাসের চিহ্ন মিলেছে গুহাচিত্রে। 고조선 (গোজোসন), যা কোরিয়ার প্রথম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত, ১০০০ খ্রিস্টপূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পরে বিভিন্ন রাজ্যগুলোতে বিভক্ত হয়, যেমন 신라 (শিল্লা), 고구려 (গোগুর্যো), এবং 백제 (বাকজে)।

고려 왕 dynasty এবং 조선 왕조 (জোসন)

১২৯৩ সালে 고려 (গোরে) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল। ১৩৯২ সালে 조선 (জোসন) রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আধুনিক কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ। জোসন যুগে কনফুসিয়ানিজমের প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

উপনিবেশিক সময় ও স্বাধীনতা সংগ্রাম

১৯১০ সালে জাপান কোরিয়াকে দখল করে, যা ৩৫ বছর স্থায়ী ছিল। এই সময়ে কোরিয়ার জনগণ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হয়: উত্তর কোরিয়া (সোশ্যালিস্ট) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (ডেমোক্রেটিক)।

আধুনিক কোরিয়া: প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি

আজকের কোরিয়া প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে অন্যতম নেতা। K-Pop, কোরিয়ান সিনেমা, এবং টেলিভিশন সিরিজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কোরিয়ান সংস্কৃতিতে খাবার, পোশাক, এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

কোরিয়ান ভাষা ও সাহিত্য

কোরিয়ান ভাষা, যা 한글 (হাঙ্গুল) নামক অক্ষরে লিখিত, এর নিজস্ব পরিচিতি বহন করে। কোরিয়ান সাহিত্যে প্রাচীন কবিতা থেকে আধুনিক উপন্যাস পর্যন্ত বিস্তৃত ধারা রয়েছে। Kim Ji-young, Born 1982 এবং The Vegetarian কোরিয়ান সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করেছে।

উপসংহার

কোরিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের পরিচায়ক, যা কালের প্রবাহে বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। আজকের কোরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে এক শক্তিশালী সংস্কৃতি ও অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত।

বিশ্বাসের ভিত্তিতে নির্মিত: আপনার কোরিয়ান তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস

মানুষ কেন আমাদের কোরিয়ান পেজ এবং ওয়েবসাইটের উপর বিশ্বাস রাখবে, এর কিছু কারণ:

1. বিশ্বাসযোগ্য তথ্য: আমাদের তথ্যগুলি নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সংগৃহীত এবং যাচাইকৃত, যা সঠিকতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে।


2. স্পষ্ট ও সহজ ভাষা: জটিল বিষয়বস্তু সহজ ও পরিষ্কার ভাষায় উপস্থাপন করে, যাতে সবাই সহজেই বুঝতে পারে।


3. নিয়মিত আপডেট: নতুন তথ্য ও সংবাদ নিয়মিত আপডেট করে, পাঠকরা সবসময় সাম্প্রতিক তথ্য পাবেন।


4. গবেষণা ভিত্তিক বিষয়বস্তু: তথ্য ও নিউজের পিছনে গভীর গবেষণা এবং বিশ্লেষণ রয়েছে, যা পাঠকদের বিশ্বাস যোগায়।


5. প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা: পাঠকদের মন্তব্য ও পর্যালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্বাসযোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।


6. সামাজিক দায়িত্ব: আমরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করি, যা সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে।


7. বিশ্বস্ত দল: আমাদের টিমের সদস্যরা অভিজ্ঞ এবং পেশাদার, যারা বিষয়বস্তু তৈরিতে দক্ষ।


8. শিক্ষণীয় উপকরণ: শুধুমাত্র খবর নয়, বরং শিক্ষামূলক ও গবেষণামূলক বিষয়বস্তুও প্রদান করি।